রেজওয়ান হুজুর ও দুধভাজা জ্বিন

বরিশালের এক মফস্বল এলাকায় থাকতো রেজওয়ান নামের এক মানুষ, যাকে সবাই ‘রেজওয়ান হুজুর’ বলে ডাকতো। কারণ, সে সবসময় পাঞ্জাবি, টুপি আর চোখে আতর মেখে ঘুরে বেড়াতো। মুখে সবসময় “আলহামদুলিল্লাহ”, “ইনশাআল্লাহ”, “তওবা তওবা” — অথচ ভিতরে সে ছিল পুরো ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’!

একদিন সে এলাকায় ঘোষণা দিলো:
— “ভাইসব, আমি এক বিশেষ রুহানী শক্তি পেয়েছি। আমার কাছে এখন এক ‘দুধভাজা জ্বিন’ আছে, যেটা যেকোনো মেয়েকে প্রেমে পড়াতে পারে!”

লোকজন তো থ! এমন জ্বিন কেউ শুনেছে নাকি!
সে বলল, “এই জ্বিনের নাম রহিমা। ও খুবই ভদ্র, সকালে দুধ খায়, রাতে কাবাব।”
এক যুবক সাহস করে জিজ্ঞেস করল,
— “হুজুর, জ্বিন নারী নাকি পুরুষ?”
রেজওয়ান হালকা গলায় হাসলো,
— “রুহানী ব্যাপার, ভাই। জেন্ডার ফিক্সড না।”

এরপর শুরু হলো তার “জ্বিন সেবা” ব্যবসা। প্রেমে ব্যর্থ, চাকরিতে ব্যর্থ, এমন সব ছেলেরা লাইনে দাঁড়িয়ে গেলো রেজওয়ানের ঘরে। ফি নিল মাত্র ৫০০ টাকা, সঙ্গে এক বোতল রুহ আফজা।

একদিন এক মাতবর সাহেব তার মেয়ের জন্য “সুরক্ষার দোয়া” নিতে গেলেন। রেজওয়ান চোখ বন্ধ করে কিছু বিড়বিড় করলো, হঠাৎ মাথা নাড়তে লাগলো —
— “ওহ! জ্বিন বলছে মেয়ের নাম তানিয়া, ওর প্রেমের ছায়া আছে! একটাই উপায়, মেয়েকে তিনদিন আমার জিম্মায় রেখে ‘সুরক্ষা কবচ’ পড়াতে হবে!”

মাতবর তো খ্যাঁৎ করে উঠলেন,
— “তুই হুজুর না হুজুরের ছাগল?!”

পরে জানা গেল, রেজওয়ান আগে এক গাঁজা সেবক ছিলেন। এখন সেটা ঢেকে রাখতেই সে “জ্বিন-তত্ত্ব”, “তাবিজ-কবজ”, আর “ইসলামী লতিফা” দিয়ে গাঁজাখোরি চালিয়ে যাচ্ছেন।
গ্রামের মুরুব্বিরা একত্র হয়ে ঘোষণা দিলো —
— “রেজওয়ানকে ইন্টারনেটসহ এলাকায় নিষিদ্ধ করা হইল!”

শেষমেশ রেজওয়ানকে দেখা গেল, পাশের হাটে দাঁড়িয়ে বলছে,
— “ভাইরা, আমি সব ছাইড়া দিছি। এখন আমি অনলাইন হুজুর। লাইভে আসি, লাইভে তাবিজ দিই!”

আরেকজন বলে উঠল,
— “তাবিজ না ভাই, তুই তো লাইভে প্রেমিকার নাম বললেই ব্লক খাস!”

শিক্ষণীয় কথা: বাহিরে টুপি থাকলেই ভিতরে ঈমান থাকে না। আর রেজওয়ানের প্রেমে পড়লে দুধভাজা জ্বিনও গ্যারান্টি দিতে পারে না!

SONG

 

PODCAST

শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন

Facebook
Twitter
LinkedIn