হামিমের হার্টব্রেক হাইকোর্ট

হামিম, মধ্যবিত্ত পরিবারের এক বিশাল স্বপ্নবাজ ছেলে। প্রেমে পড়লে সে Shakespeare, ছ্যাকা খাইলে কবি Kazi Nazrul — এমনই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী! তার প্রেমিকা লিসা একজন “ডিভোর্সি”, তবে তার সাজপোশাক, স্মার্টনেস আর “নেটফ্লিক্স অ্যান্ড চিল” ফিলোসফি দেখে প্রথম দেখাতেই হামিম বলে বসে,
“তোমার চোখে আমি ভবিষ্যতের মা দেখি…”

লিসা হালকা হেসে বলে,
“তুমি তো দেখি একদম বেকার কবি টাইপ… পেটভরা প্রেমে চলবে না, ভাই! পকেট ফুল হইলেই আমি ফুল ফিলিংস দিব।”

এরপর শুরু হয় হামিমের “প্রেমীয়ত জেহাদ”। সে রোজগারের নাম করে প্রথমে বাটা শোরুমে সেলসম্যান, পরে গুলিস্তানে চটপটি বিক্রেতা, শেষে TikTok লাইভে “চকলেট বয়” হয়ে গিটারে “তুমি কোথায় ছিলে রে…” গান গাইতে থাকে।

লিসা, আধুনিক নারীবাদী হলেও বিল আসলে মোবাইল কেটে দেয়। রেস্তোরাঁয় গিয়ে বলত,
“আমি ফেমিনিস্ট, কিন্তু বিলটা পুরুষের দেওয়াই শোভা পায়।”

একদিন হঠাৎ লিসা বলে বসে,
“তোমার মতো একজন খাঁটি ভালোবাসার মানুষ আমি আগে দেখিনি — তবে এখন আমার একজন ফ্ল্যাটওলা স্পন্সর আছে, বাই হামিম।”

হামিম তখন হতাশ হয়ে পড়ে যায় এক “ছ্যাকা সংকট”-এ। পকেট খালি, চোখ ভেজা, আর স্ট্যাটাস দেয় —
“Heart is Temporary, Bkash is Permanent.”

এরপর সে চলে যায় গুলিস্তান ব্রিজের নিচে, সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে ছন্দ মিলিয়ে বলে,
“লিসা শুধু লিসা না… ও একটা লিচু! চুষে খাইছে, বিচিটাও ফেলে দিছে!”

অবশেষে সে নিজেই নিজের নামে একটা কোর্ট খোলে —
“হামিমের হার্টব্রেক হাইকোর্ট”,
যেখানে প্রতিদিন ছ্যাকা খাওয়া ছেলেরা আসে কেস করতে। কেউ প্রেমে খাইছে ছ্যাকা, কেউ ডিনারে খাইছে কাচ্চি আর দেয় নাই টাকা।

এই কোর্টে বিচার হয় এইভাবে:

আসামি মেয়ের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল দেখা হয়।

ফলোয়ার ১০ হাজার পার হলে রায়: “ভিক্টিম তুমি নিজেই ভাই!”

আর যদি মেয়েটা TikTok Star হয়, তখন কোর্ট থেকে একটাই সাজা দেয় —
“Unfollow করো, নইলে আত্মহনন করো!”

আজও হামিম কোর্টে বসে সিগারেট টানতে টানতে বলে,
“আহা প্রেম! এক সময় ছিলো হৃদয়ের সংযোগ, এখন WiFi Signal strong না থাকলে প্রেমই হয় না!”

😄 মোরাল অফ দ্য স্টোরি:
হামিম প্রেমে পাগল ছিল, এখন ছ্যাকা সাহিত্যের গুরু।
লিসা গেল, কিন্তু সে রেখে গেলো একটি ঐতিহাসিক প্রবাদ—
“ছ্যাকা চিরস্থায়ী, প্রেম সাময়িক।”

SONG

 

PODCAST

শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন

Facebook
Twitter
LinkedIn